পটুয়াখালীর গলাচিপায় শুরু হয়েছে প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২। এ বছর আদমশুমারী জনশুমারী নামে শুরু হয়েছে।
যা প্রতি দশ বছর পর পর হয়ে থাকে। ২০১১ পরে ২০২১ সালে এ শুমারী হওয়ার কথা থাকলেও বৈশি^ক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে এক বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ শুমারী। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ তারই অংশ হিসেবে ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ০০ (আওয়ার) থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষ কে খানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
উপজেলায় মোট ৭ জন ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী, নেতৃত্বে ৬টি জোনের জোন প্রধান এ কাজে অংশগ্রহন করেন।
গলাচিপা উপজেলাকে ৬টি জোনে ভাগ করে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর কার্যক্রম ১৫ তারিখ সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী মো. মাসুদ বলেন, গলাচিপায় ৬টি জোনে ৭৪৭ গণনাকারী, ১২৮ জন সুপারভাইজার, ৬ জন আইটি সুপারভাইজার, ৬ জন জোনাল অফিসার ও ১ জন উপজেলা সমন্বয়কারীসহ মোট ৮৮৮ জন শুমারীকর্মী কাজ করছে।
এদিকে ১৫ তারিখ (বুধবার) সকাল থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে শুমারীকর্মীরা। ২১ তারিখ পর্যন্ত চলবে শুমারী কার্যক্রম।